নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩. Help school - Help School

নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩. Help school

Daftar Isi [Tutup]

    নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩

    নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩. Help school


    নিমগাছ  গল্পের গুরুত্বপূর্ণ  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর যেসব পড়লে ও দেখলে তোমাদের খুবই উপকার হবে। এই সকল সৃজনশীল প্রশ্ন সকল বোর্ড,  অনুধাবন, প্রয়োগ,  উচ্চতার দক্ষতা  মূলক  প্রশ্ন  থেকে নেওয়া হয়েছে। আসা করি এই সকল সৃজনশীল প্রশ্ন পড়লে তোমাদের S.S.C পরীক্ষার  নিমগাছ  গল্প বিষয়ের জন্য খুব উপকারী হবে। 


    আরও পড়ুন :-

    সেই দিন এই মাঠ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩


    নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ০১


     জামান সাহেবের বাড়িতে দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ কাজ করছেন হাস বিবি। এক কথায় তাদের সংসারটা শুধু বাচিয়ে রেখেছেন তা নয় বরং তাদের সমৃদ্ধির মূলে হাসু বিবির অবদান সীমাহীন। বয়সের ভারে আজ তিনি অক্ষম, তার পক্ষে এখন আর গতর খাটা অসম্ভব। মনে মনে হাসু বিবির আশা জীবনের বাকি সময়টুকু যদি ইচ্ছাস্বাধীনভাবে কাটাতে পারতেন।

    ক. কবি কীভাবে নিমগাছকে দেখলেন?

    খ. ‘কেউ ছালটা ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করছে’– একথা দ্বারা লেখক কী বুঝিয়েছেন?

    গ. উদ্দীপকের হাসু বিবি ‘নিমগাছ' গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিচ্ছবি? ব্যাখ্যা কর।

    ঘ. বাকি সময়টুকু যদি ইচ্ছাস্বাধীনভাবে কাটাতে পারতেন। উদ্দীপকের এই চরণের সঙ্গে নিমগাছ' গল্পের শেষ চরণের রূপকতা ব্যাখ্যা কর।


    নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল উত্তর ০১


     ক.

     কবি মুগ্ধ দৃষ্টিতে নিমগাছকে দেখলেন।


    খ.

    •  'কেউ ছালটা ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করছে’– এ কথা দ্বারা লেখক নিমগাছের উপকার গ্রহণকারীদের আচরণকে বুঝিয়েছেন।

    • নিমগাছের পাতা, ছাল, ডাল অনেক উপকারী। নানা ভেষজ ওষুধ তৈরি করার জন্য মানুষ নিমের ছাল ব্যবহার করে। নিমের ছাল পানিতে সিদ্ধ করলে যে রস বের হয়, সেই রসমিশ্রিত পানি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এতে উদরাময়, আমাশয়, পিত্তশূল, ক্ষুধামান্দ্য, অম্ল ইত্যাদি রােগের উপশম হয়। এসব কারণেই মানুষ নিমের ছাল সিদ্ধ করে।


    গ.

    • উদ্দীপকের হাসু বিবি ‘নিমগাছ' গল্পের নিমগাছের রূপকে ‘লক্ষ্মীবউ’ চরিত্রের প্রতিচ্ছবি।

    • পুরুষশাসিত সমাজে নারীরা প্রতিনিয়তই নানা রকম অমর্যাদার শিকার হয়। অথচ পরিবারের সার্বিক উন্নয়নে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকার করা হয় না। নারীদের পরিশ্রম ও অবদানের যথার্থ মূল্যায়ন কেউ করতে চায় না। কিন্তু তারাও চায় সুস্থসুন্দরভাবে এবং আত্মমর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে জীবন কাটাতে।

    •  উদ্দীপকে হাসু বিবির কথা বলা হয়েছে। তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে জামান সাহেবের সংসার আগলে রেখেছেন, সমন্ধির পথ। দেখিয়েছেন। আজ তিনি বয়সের ভারে অক্ষম। অথচ বাকি জীবনটা ইচ্ছাস্বাধীনভাবে কাটাতে তার মন চায়। নিমগাছ' গল্পেও লেখক নিমগাছের রূপকে গৃহকর্মা নিপুণা এক লক্ষ্মীবউয়ের সামাজিক অবস্থান তুলে ধরেছেন। নিমগাছ একটি উপকারী বক্ষ হলেও কেউ তার যত্ন নেয় না, অবহেলা-অযত্নে বেড়ে ওঠে আবর্জনার পাশে। তার খুব ইচ্ছা করে সৌন্দর্যপ্রেমী কবির সঙ্গে চলে যেতে কিন্তু যেতে পারে না। আমাদের সমাজে গৃহবধুদের অবস্থাও ঠিক তেমনই। তারা অনাদর-অবহেলা সহ্য করে নীরবে সংসারের কাজ করে যায়। ইচ্ছা থাকলেও তারা কোথাও যেতে পারে না। গল্পের এই চরিত্রটির সঙ্গে উদ্দীপকের হাসু বিবির চরিত্রের সাদশ্য বিদামান।


    ঘ.

    •  বাকি সময়টুকু ইচ্ছাস্বাধীনভাবে কাটাতে পারতেন। উদ্দীপকের এই চরণের সঙ্গে ‘নিমগাছ' গল্পের শেষ চরণের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান।

    • সাধারণত পুরুষশাসিত সমাজে নারীদের যথার্থ মূল্যায়ন করা হয় না। সংসারে নারীর যে অবদান রয়েছে তা স্বীকার করতে অনেকে। কুষ্ঠিত হয়। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে সংসার, সমাজ তথা রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়।

    • উদ্দীপকে হাসু বিবি নামের এক নারীর কথা বলা হয়েছে। তিনি ২৭ বছর ধরে একটা সংসার আগলে রেখেছেন। এখন তিনি বয়সের। ভারে অক্ষম। তিনি বাকি জীবনটা স্বাধীনভাবে কাটাতে চান। এই ভাবটি ‘নিমগাছ' গল্পেও গভীর তাৎপর্য বহন করে। গল্পে নিমগাছের রুপকে সংসারে নারীদের অবদান এবং তাদের প্রতি অবহেলার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। তারাও মুক্তজীবন পেতে আগ্রহী অথচ সমাজব্যবস্থার বেড়াজালে তাদের পা বাধা।

    •  নিমগাছ' গল্পে লেখক নিমগাছের ভেষজগুণের বর্ণনার পাশাপাশি এই গাছের প্রতি মানুষের অবহেলার দিকটি তুলে ধরেছেন। প্রয়ােজনের বাইরে এই গাছটির সামান্য যত্নও কেউ নেয় না। সৌন্দর্যপ্রিয় এক কবি গাছটির প্রশংসা করে। তার কথায় নিমগাছের কবির সাথে চলে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু যেতে পারে না, কারণ তার শিকড় মাটির অনেক গভীরে চলে গেছে। এমনই দশা আমাদের সমাজের নারীদের। কারণ তারাও স্বাধীনভাবে আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চাইলেও সমাজব্যবস্থার প্রতিকূলতার জন্য তা পারে না। গল্পের শেষ চরণের এই ভাবটির সঙ্গে প্রশ্নোক্ত চরণটির বক্তব্য এখানে অভিন্ন হয়ে প্রকাশ পেয়েছে।


    নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ০২


    অর্জুন গাছ হচ্ছে একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। এরা মধ্যম বা বৃহৎ আকৃতির বৃক্ষ । অর্জুনের বাকল বাংলায় ঔষধি কাজে ব্যবহৃত হয়। এ গাছের ছাল, পাতা ও ফল ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাকল থেকে হৃদরােগের ওষুধ এবং পাতার রস আমাশয় রােগের জন্য বিশেষ উপকারী । বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞলে বিশেষ করে রাস্তার দুপাশে এবং কোনাে কোনাে বাড়ির আশেপাশে এ গাছ দেখা যায়।

    ক. নিমগাছের শেকড় কোথায় চলে গেছে?

    খ. নিমগাছটার লােকটার সাথে চলে যেতে ইচ্ছে করে কেন?

    গ. উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ' গল্পের কোন বিষয়ের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

    ঘ. সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকের বিষয় নিমগাছ' গল্পের অন্তর্নিহিত তাৎপর্যকে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।


    নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল উত্তর ০২


    ক.

    নিমগাছের শেকড় মাটির ভেতরে অনেক দূর চলে গেছে।


    খ.

    •  অনাদর ও অবহেলা থেকে মুক্তি পেতে কবির মতাে একজন সৌন্দর্যপিয়াসী লােকের প্রশংসায় মুগ্ধ হয়ে নিমগাছটির তার সঙ্গে চলে যেতে ইচ্ছে করে।

    • ‘নিমগাছ' গল্পে সাধারণ অর্থে নিমগাছ ভেষজ গুণসম্পন্ন একটি গাছ। এর ছাল, পাতা, ডাল নানাভাবে মানুষের রােগ উপশম করে। অথচ কেউ এই গাছের সামান্যতম যত্ন নেয় না। একজন কবি একদিন নিমগাছের রূপ ও গুণের প্রশংসা করেন। এই সৌন্দর্যপিয়াসী কবির প্রশংসায় নিমগাছটি মদ্ধ হয় এবং তার সঙ্গে চলে যেতে চায়। লােকটির সঙ্গে নিমগাছটির চলে যাওয়ার ইচ্ছা পােষণের মধ্য দিয়ে লেখক গৃহকর্ম-নিপুণা একজন গৃহবধূর নিগৃহীত ও অবহেলিত জীবনের মুক্তির বাসনা প্রকাশ করেছেন।


    গ.

    •  উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ' গল্পের নিমগাছের ভেষজ গুণের বর্ণনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

    • প্রকতির প্রতিটি অনুষঙ্গই মানুষের জন্য উপকারী। বিশেষ করে গাছপালার অবদান অনস্বীকার্য। এগুলাের মধ্যে এমন কিছু হচ্ছে আছে যা মানব শরীরের অনেক সমস্যা সরাসরি নির্মূল করে। ঔষধি গুণসম্পন্ন এসব বৃক্ষ মানুষের বিভিন্ন উপকারে আসে।

    • উদ্দীপকে অর্জন গাছের ভেষজ গুণের কথা বলা হয়েছে। এর ছাল বা বাকল হৃদরােগের জন্য উপকারী এর পাতার রসে অমশর রােগ ভালাে হয়। এ বিষয়টি নিমগাছ' গল্পেও বর্ণিত নিমগাছের ঔষধি গুণের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। গষ্টে বলা হয়েছে নরে ই কে সিদ্ধ করে, কেউ পাতা শিলে পিষে দাদ, চুলকানি ইত্যাদি রােগের ওষুধ হিসেবে লাগায়। নিমের তল সতের জন্য বিশেদ ইকব। নিমের পাতা ভেজে খেলে যকৃতের জন্য ভালাে ফলদায়ক। এ জন্য কবিরাজরা নিম গাছের প্রশংসা করেন। তাই বলে । যে গাছে ভেষজ গুণের বর্ণনার দিক থেকে উদ্দীপকটির সাথে গল্পের সাদৃশ্য রয়েছে ।


    ঘ.

    •  সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকের বিষয় নিমগাছ' গল্পের অন্তর্নিহিত তাৎপর্যকে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে।- মন্তব্যটি যথার্থ।

    • বৃক্ষ প্রকৃতির আশীর্বাদ। মানুষের জীবনেও গাছের ভূমিকা সর্বাধিক। অন্ন-বাসস্থান-চিকিৎসার মতাে মৌলিক চাহিদাগুলাে গাছের মাধ্যমেই মেটে। প্রকৃতির সৌন্দর্য ও ভারসাম্য রক্ষা করে গাছ। জীবন সাজাতে এবং জীবন বাঁচাতে আমরা গাছের ওপর নির্ভরশীল।

    • উদ্দীপকে অর্জুন গাছের ঔষধি গুণ বর্ণনা করা হয়েছে যা নিমগাছ' গল্পের নিমগাছের ভেষজ গুণ বর্ণনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। অর্জুন গাছের ছাল, পাতা হৃদরােগ ও আমাশয় রােগের পক্ষে উপকারী। অপরদিকে নিমগছের পাতা, ছাল, ডাল, ছায়া মানব শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূরীভূত করে। উদ্দীপক এবং গল্পের এ বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও গল্পের তাৎপর্য সুদূরপ্রসারী। গল্পে লেখক নিমগাছের প্রতীকে তুলে ধরেছেন একজন লক্ষ্মী বউ এর অবদানের কথা।

    • 'নিমগাছ' গল্পটিতে নিমগাছের বিভিন্ন উপকারী গুণের বর্ণনার পাশাপাশি এর প্রতি অযত্ন এবং এর সৌন্দর্যের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। সর্বোপরি গল্পের শেষ বাক্যে লেখক যে সীমাহীন কথার আখ্যান জুড়ে দিয়েছেন তা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। নিমগাছের সঙ্গে বাঙালি গৃহবধূর সাদৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে এই গল্পে, যা গভীর তাৎপর্য বহন করে। নিমগাছ উপকারী হলেও কেউ যেমন তার কোননা যত্ন নেয় না তেমনই সংসারে গৃহবধূ সারা দিন পরিশ্রম করে সবাইকে ভালাে রাখার জন্য, তবু তার কোনাে মূল্যায়ন হয় না। এই দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিত। সুতরাং বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।


    তথ্যসংগ্রহ :- পাঠ্য বই , নবদূত পাঠ সহায়ক বই ,  মুক্তি  ও জীবন ও বৃক্ষ  গল্প  থেকে নেওয়া।