বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩. Help school - Help School

বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩. Help school

Daftar Isi [Tutup]

     বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩


    বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩. Help school.


    বঙ্গবাণী নদ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর যেসব পড়লে ও দেখলে তোমাদের খুবই উপকার হবে। এই সকল সৃজনশীল প্রশ্ন সকল বোর্ড,  অনুধাবন, প্রয়োগ,  উচ্চতার দক্ষতা  মূলক  প্রশ্ন  থেকে নেওয়া হয়েছে। আসা করি এই সকল সৃজনশীল প্রশ্ন পড়লে তোমাদের S.S.C পরীক্ষার বঙ্গবাণী নদ কবিতা বিষয়ের জন্য খুব উপকারী হবে।

    আরও পড়ুন ঃ-

    কপোতাক্ষ নদ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩.


    বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন - ০১


    সাহিদ ও জাহিদ দুই বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। সাহিদ বাংলা ভাষাকে খুব ভালােবাসে। অন্যদিকে জাহিদের বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি পছন্দ নয়। সে ইংরেজি জানা নিয়ে গর্ব করে। সাহিদ ক্ষুব্ধ হয়ে জাহিদকে বলে, “আমরা বাঙালি, বাংলা ভাষা আমাদের অহংকার'।”

    ক. ‘জুয়ায়’ শব্দের অর্থ কী?

     খ. ‘মাতা পিতামহ ক্রমে বঙ্গেত বসতি দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি’– ব্যাখ্যা কর।

     গ. উদ্দীপকের জাহিদের মতাে মানুষদের প্রতি কবি আবদুল হাকিম কী মনােভাব পােষণ করেন? ব্যাখ্যা কর।

     ঘ. উদ্দীপকের সাহিদ ও বঙ্গবাণী' কবিতার কবির বক্তব্য একই চেতনা থেকে উৎসারিত”– বিশ্লেষণ কর।


    বঙ্গবাণী কবিতার  সৃজনশীল উত্তর  - ০১


    ক. 

    জুয়ায় শব্দের অর্থ জোগায়।


    খ.

    • মাতা পিতামহ ক্ৰমে বঙ্গেত বসতি/দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি’ বলতে কবি বংশানুক্রমে বহুকাল ধরে এদেশে বাংলা ভাষার প্রচলন এবং এই ভাষার কল্যাণের দিকটিকে বুঝিয়েছেন।

    •  'বঙ্গবাণী' কবিতায় কবি বাংলা ভাষার প্রতি সুগভীর ভালােবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। মাতৃভাষায় জ্ঞানচর্চা, সাহিত্য রচনা এবং নীতি ও আদর্শ প্রচার অত্যন্ত সহজ ও স্বাভাবিক বলে কবি মনে করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন যে, বংশানুক্রমে বহুকাল ধরে এদেশের মানুষ বাংলা ভাষা ব্যবহার করে আসছে। মাতৃভাষায় মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে, আনন্দে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। মাতৃভাষা ভাব প্রকাশের সর্বোত্তম বাহন। এ কারণে প্রত্যেক জাতির কাছেই তার মাতৃভাষা অত্যন্ত মূল্যবান এবং সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। এই দিকটি তুলে ধরতেই কবি প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।


    গ. 

    • উদ্দীপকের জাহিদের মতাে মানুষের প্রতি কবি আবদুল হাকিম ক্ষুব্ধ মনােভাব পােষণ করেন।

    • মাতৃভাষা মানুষের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। মানুষের চিন্তা-চেতনা, সাধনা মাতৃভাষাতেই সহজভাবে সম্পন্ন হয় । কারণ মাতৃভাষা মানুষের সহজাত ভাষা। 

    • উদ্দীপকের জাহিদের আচরণে মাতৃভাষার প্রতি অবজ্ঞা ও অবহেলা প্রকাশ পেয়েছে। কারণ সে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে পছন্দ করে না। এদেশে জন্মগ্রহণ করেও সে এদেশের ভাষাকে সম্মান করে না। সে ইংরেজি জানাকে গৌরবের বিষয় মনে করে। জাহিদের এই আচরণের বিষয়টি বঙ্গবাণী' কবিতায় প্রতিফলিত বাংলা ভাষাবিদ্বেষী মনােভাবসম্পন্ন মানুষের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। তারা দেশি ভাষাকে মূল্য ও মর্যাদা না দিয়ে বিদেশি ভাষাকে বেশি গুরুত্ব দেয়। কবি আবদুল হাকিম এ ধরনের স্বদেশি ভাষাবিদ্বেষী এবং বিদেশি ভাষা প্রেমিকদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, দেশি ভাষার প্রতি যাদের অনুরাগ নেই, দেশি ভাষার বিদ্যা যাদের মন জোগায় না, যারা মাতৃভাষাকে অবহেলা করে, তারা যেন এ দেশ ত্যাগ করে বিদেশে চলে যায়।


    ঘ.

    • “উদ্দীপকের সাহিদ ও বঙ্গবাণী” কবিতার কবির বক্তব্য একই চেতনা থেকে উৎসারিত” – মন্তব্যটি যথার্থ ।

    •  মা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি প্রত্যেক মানুষের কাছে পরম শ্রদ্ধার। মানুষ তার প্রয়ােজনে মাতৃভাষা ছাড়াও একাধিক ভাষা শিখে। তাই বলে মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করা উচিত নয়। কারণ স্বদেশের ভাষা, সংস্কৃতিকে অবহেলা করে বিদেশি ভাষা-সংস্কৃতি দ্বারা কেউ বড় হতে পারে না। 

    • উদ্দীপকের সাহিদ বাংলা ভাষা অনুরাগী । সে বাংলা ভাষাকে ভালােবাসে। যারা বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা ও অবহেলা করে তাদের প্রতি সে ক্ষুব্ধ। সে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলে আমরা বাঙালি, বাংলা ভাষা আমাদের অহংকার। সাহিদের এ বক্তব্য এবং বঙ্গবাণী' কবিতায় প্রতিফলিত কবির বক্তব্য এক। কবিও বাংলা ভাষাবিদ্বেষীদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, যারা বাংলা। ভাষাকে ঘৃণা করে, তারা যেন এদেশ ছেড়ে অন্য কোনাে দেশে চলে যায়। কারণ বাংলা ভাষা বাঙালিদের কাছে অনেক মর্যাদার ও অহংকারের । বাংলা ভাষা ছাড়া অন্য কোনাে ভাষার প্রতি কবির বিশেষ আগ্রহ নেই। তিনি এ ভাষাতেই তার আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করেন। আর বহুকাল ধরে বংশপরম্পরায় করে আসছেন। উদ্দীপকের সাহিদের মধ্যেও এ ধরনের ভাষাপ্রীতি লক্ষ করা যায় ।

    • ‘বঙ্গবাণী কবিতায় কবি তার মাতৃভাষা বাংলার প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এদেশে জন্মগ্রহণ করে, যারা এদেশের ভাষাকে অবজ্ঞা করে তাদের প্রতি তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কবির মতাে উদ্দীপকের সাহিদও বাংলা ভাষাবিদ্বেষীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এই দিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ। 


    বঙ্গবাণী কবিতার  সৃজনশীল প্রশ্ন  - ০২


    কিন্তু যে সাধেনি কভু জন্মভূমির হিত 

    স্বজাতির সেবা যেবা করেনি কিঞ্চিৎ

     জানাও সে নরাধমে জানাও সত্বর

    অতীব ঘৃণিত সেই পাষণ্ড বর্বর। 

    ক. 'ছিফত’ শব্দের অর্থ কী?

     খ, সেই বাক্য বুঝে প্রভু আপে নিরঞ্জন লাইনটি ব্যাখ্যা কর।

     গ. উদ্দীপকের কথাগুলাে বঙ্গবাণী' কবিতার কোন ভাব স্পর্শ করেছে বলে তুমি মনে কর? তােমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

     ঘ, বঙ্গবাণী’ কবিতার কবি ও উদ্দীপকের কবির ক্ষোভের আড়ালে যে বােধটি পরস্পরের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। তার নাম দেশপ্রেম মূল্যায়ন কর।


    বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল উত্তর  - ০২


    ক. 

    ছিফত শব্দের অর্থ গুণ।

     খ.

    •  ‘সেই বাক্য বুঝে প্রভু আগে নিরঞ্জন লাইনটি দ্বারা কবি স্রষ্টা যে সব ভাষাই বােঝেন সেই বিষয়টিকে বুঝিয়েছেন।

    •  'বঙ্গবাণী’ কবি আবদুল হাকিম কবিতায় নিজের মাতৃভাষা বাংলার কথা বলেছেন। তিনি নিজের দেশি ভাষার প্রতি ভালােবাসা ও মমতা প্রকাশ করেছেন। কবিতাটিতে কবি বলেছেন, প্রত্যেক দেশের মানুষের নিজস্ব মাতৃভাষা রয়েছে। মানুষ যে যে ভাষায় কথা বলে, স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করে, স্রষ্টা মানুষের সেসব ভাষা বুঝতে পারেন। প্রশ্নোক্ত লাইনটির মধ্য দিয়ে স্রষ্টার সব ভাষা বােঝার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।


    গ.

    • উদ্দীপকের কথাগুলােতে ‘বঙ্গবাণী' কবিতার স্বদেশের ভাষার প্রতি অনুরাগহীনদের প্রতি কবির ক্ষোভের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।

    • আমাদের সমাজে এমন অনেকে আছে যারা দেশের প্রতি অকৃতজ্ঞ। তারা দেশের আলাে-হাওয়ায় বেড়ে উঠেও স্বার্থের কারণে স্বদেশেরই বিরোধিতা করে। তারা দেশকে ভালােবাসে না। 

    • উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি যারা নিজ জন্মভূমির কোনাে উপকার বা সেবা করেনি তাদেরকে নরাধম বলে অভিহিত করেছেন। তাদের প্রতি কবি ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। বঙ্গবাণী' কবিতায়ও কবি উদ্দীপকের কবির মতাে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেও বাংলা ভাষার প্রতি যাদের মমতা নেই তাদের জন্ম সম্পর্কে কবির সন্দেহ রয়েছে। তিনি জানতে চান, এই অকৃতজ্ঞরা এদেশ ছেড়ে কেন বিদেশে চলে যায় না? দেশ ও মাতৃভাষার প্রতি যাদের শ্রদ্ধাবােধ ও ভালােবাসা নেই ‘বঙ্গবাণী' কবিতা এবং উদ্দীপক উভয় ক্ষেত্রে তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে ।

    ঘ.

    • “বঙ্গবাণী' কবিতার কবি ও উদ্দীপকের কবির ক্ষোভের আড়ালে যে বােধটি পরস্পরের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে তার নাম দেশপ্রেম ।”- মন্তব্যটি যথার্থ । 

    • দেশপ্রেম মানুষের একটি মহৎ গুণ । একজন দেশপ্রেমিক দেশের প্রয়ােজনে নিজের জীবন দিতেও কুণ্ঠাবােধ করেন না। দেশ, দেশের প্রকৃতি, মানুষ, ইতিহাস, ঐহিত্য, ভাষাকে গভীরভাবে ভালােবাসাই দেশপ্রেম।

    •  ও উদ্দীপকের কবিতাংশে কবির দেশের প্রতি গভীরে ভালােবাসা প্রকাশ পেয়েছে। যারা নিজ দেশে বসবাস করে, সুযােগ-সুবিধা ভােগ করেও দেশের প্রতি দায়িত্ব পালন করে না কবি তাদের ঘৃণা করেছেন। বঙ্গবাণী' কবিতায় কবি আবদুল হাকিম মাতৃভাষার প্রতি তার গভীর অনুরাগ প্রকাশ করেছেন। যাদের মনে স্বদেশের ও স্বভাষার প্রতি কিছু মাত্র অনুরাগ নেই তাদেরকে তিনি এদেশে ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা বলেছেন।

    •  'বঙ্গবাণী' কবিতায় কবি মাতভাষার প্রতি যে অনুরাগ প্রকাশ করেছেন, তাতে তার দেশপ্রেম প্রকাশ পেয়েছে। বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি এবং মাতৃভাষায় বর্ণিত বক্তব্য আমাদের মর্ম স্পর্শ করে । উদ্দীপক ও বঙ্গবাণী' কবিতার কবি দুজনেই যারা নিজের দেশ ও দেশের ভাষাকে ভালােবাসে না তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এর মূলে রয়েছে তাদের অফুরন্ত দেশপ্রেম। এদিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।


    তথ্যসংগ্রহ :- পাঠ্য বই ,  লেকচার ও অনুপম পাঠ সহায়ক বই , মডেল টেস্ট   থেকে।