কপোতাক্ষ নদ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩ . Help School - Help School

কপোতাক্ষ নদ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩ . Help School

Daftar Isi [Tutup]

    কপোতাক্ষ নদ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩


    কপোতাক্ষ নদ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩


    কপোতাক্ষ নদ  কবিতার  গুরুত্বপূর্ণ কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর যেসব পড়লে ও দেখলে তোমাদের খুবই উপকার হবে। এই সকল সৃজনশীল প্রশ্ন সকল বোর্ড   মডেল টেস্ট থেকে নেওয়া হয়েছে। আসা করি এই সকল সৃজনশীল প্রশ্ন পড়লে তোমাদের S.S.C পরীক্ষার  কপোতাক্ষ নদ কবিতার বিষয়ের জন্য খুব উপকারী হবে।

    আরও পড়ুন :-

    জীবন-সঙ্গীত কবিতার  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩


    কপোতাক্ষ নদ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন -০১


    আমার দেশের মাটিতে আমার প্রাণ

    নিতি লভে নব জীবনের সন্ধান

    এখানে প্লাবনে নুহের কিতি ভাসে

    শান্তি কপোত বারতা লইয়া আসে।

    আমার দেশের মাটিতে মেশানো আমার প্রাণের ঘ্রাণ

    গৌরবময় জীবনের সম্মান।

    ক. 'নিশা' শব্দের অর্থ কী?

    খ. কবির মনে সংশয় কেন?

    গ. উদ্দীপকটি ‘কপোতাক্ষ নদ' কবিতার সঙ্গে কোন দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

    ঘ. “মিল থাকলেও উদ্দীপক ও কবিতার মূলভাব সম্পূর্ণ এক নয়।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।


    কপোতাক্ষ নদ কবিতার সৃজনশীল উত্তর  -০১


    ক.

    'নিশা' শব্দের অর্থ রাত বা রাত্রি।


    খ.

    • কপোতাক্ষ নদের সাথে আর কোনোদিন দেখা হবে কিনা সেই বিষয় নিয়ে কবির মনে সংশয়।

    • শৈশবে কবি কপোতাক্ষ নদের তীরে প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় হয়েছেন। যখন তিনি ফ্রান্সে বসবাস করেন, তখন জন্মভূমির শৈশব-কৈশোরের বেদনা-বিধুর স্মৃতি তাঁর মনে জাগিয়ে তোলে কাতরতা। দূরে বসেও তিনি কপোতাক্ষ নদের কলকল ধ্বনি শুনতে পান। তিনি আবার ফিরে আসতে চান কপোতাক্ষের কাছে। কিন্তু তাঁর মনে সংশয় জাগে আর কি দেখা হবে প্রিয় কপোতাক্ষের সাথে?


    গ.

    • স্বদেশানুরাগের দিক থেকে উদ্দীপকটি 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

    • জন্মভূমির প্রতি অনুরাগ ও ভালোবাসা মানুষকে মহত্ত্ব ও গৌরব দান করে। স্বদেশের মাটির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করে মানুষ ধন্য হয়। কারণ স্বদেশের মাটির কাছে মানুষের ঋণের শেষ নেই। তাই মানুষ স্বদেশ ছেড়ে অন্য যেখানেই যায়, সেখানেই জন্মভূমির নানা অনুষঙ্গ, স্মৃতি তাকে ঘিরে থাকে।

    • উদ্দীপকের কবিতাংশে স্বদেশের প্রতি গভীর অনুরাগ ও ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে। প্রতিদিনের জীবনাচরণে স্বদেশের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পায়। প্রিয় স্বদেশের মাটি আমাদের জীবনের সঙ্গে মিশে আছে। এখানে প্রকৃতির অনুকূল ও প্রতিকূল উভয় পরিবেশেই মানুষ টিকে থাকে। স্বদেশের দানে তারা মুগ্ধ এবং গৌরবময় জীবনের অধিকারী। উদ্দীপকের কবিতাংশের কবির এই স্বদেশানুরাগ ‘কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় প্রতিফলিত কবির স্বদেশানুরাগের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কবি প্রবাস জীবনে প্রিয় কপোতাক্ষ নদকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করেছেন। কারণ এ নদকে কেন্দ্র করে তাঁর শৈশব ও কৈশোর জীবনের নানা স্মৃতি তাঁকে তাড়িত করেছে।


    ঘ.

    • “মিল থাকলেও উদ্দীপক ও কবিতার মূলভাব সম্পূর্ণ এক নয়।”- মন্তব্যটি যথার্থ।

    • জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসা মানুষকে মর্যাদাবান করে। স্বদেশের দানে মানুষ সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। স্বদেশের মাটির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেই মা ধন্য হয় । স্বদেশকে অবজ্ঞা করে যারা প্রবাসে গিয়ে নিজেকে তুলে ধরতে চায় তারা ভুল করে এবং ব্যর্থ হয়ে প্রকৃত মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হয়।

    • উদ্দীপকে স্বদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে দেশের মাটিতে প্রাণের স্পনন, জীবনের কথা বলা হয়েছে। স্বদেশে মানুষের জীবন সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনায় মিলেমিশে একাকার। এখানে জীবনে ঝড়- কথা যেমন আছে তেমনই আছে শান্তি-সুখের খবর। উদ্দীপকে স্বদেশের সঙ্গে মানুষের এই সম্পৃক্ততার নিকটি কপোতাক্ষ নদ কবিতার স্বদেশের কবির অনুরাগ ও ভালোবাসার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কিন্তু কবিতায় প্রকাশিত তাঁর হৃদয়বেদনা অন্যান্য প্রসঙ্গের কারণ সেখানে কবি তাঁর শৈশব ও কৈশোরের স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা স্মরণ করে ব্যথিত হয়েছেন।

    • ‘কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবির ব্যক্তিগত আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। কবি প্রবাসজীবনে তাঁর জন্ম কপোতাক্ষ নদকে স্মরণ করে স্মৃতিকাতর হয়েছেন। এই বিষয়টি উদ্দীপকে নেই। কবি কপোতাক্ষ নদের জলকে মাতৃসুদের সঙ্গে তুলনা করেছেন । এ ধরনের অনুভূতি উদ্দীপকে অনুপস্থিত। এসব দিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।


    কপোতাক্ষ নদ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন -০২


    #১. সেই সাতজন নেই আজ টেবিলটা তবু আছে

    সাতটা পেয়ালা আজও খালি নেই,

    একই সে বাগানে আজ এসেছে নতুন কুঁড়ি

    শুধু সেই সেদিনের মালী নেই।


    #২. ঋতু বৈচিত্র্যের সুন্দর জন্মভূমি আমার

    বিচিত্র রূপ তার শস্য শ্যামল ক্ষেত খামার

    প্রিয় জন্মভূমি মা তোমায় ভালোবাসি বেশুমার ।


    ক. মধুসূদনের অমর কীর্তি কোনটি?

    খ. দুগ্ধস্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে'- কথাটি বুঝিয়ে লেখ।

    গ. উদ্দীপক ১ অংশে ‘কপোতাক্ষ নদ' কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর ।

    ঘ. ‘উদ্দীপক ২ অংশের আড়ালে কবির মূল চেতনারই প্রকাশ ঘটেছে'— মন্তব্যটি ব্যাখ্যা কর।


    কপোতাক্ষ নদ কবিতার সৃজনশীল উত্তর  -০২



    ক.

    মধুসূদনের অমর কীর্তি হচ্ছে— 'মেঘনাদ বধ কাব্য'।


    খ.

    • 'দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে'– এই কথাটি দিয়ে কবি কপোতাক্ষ নদের স্নেহধারাকে বুঝিয়েছেন ।

    • কপোতাক্ষ নদের স্নেহধারায় সিক্ত হয়ে কবির শৈশব-কৈশোর কেটেছে। কপোতাক্ষ নদকে ঘিরে তাঁর অনেক আনন্দ-বেদনার স্মৃতি রয়েছে। মায়ের দুধ পান করে যেমন সন্তান পুষ্ট হয়, ঠিক তেমনই কপোতাক্ষ নদের জলধারা কবির হৃদয়কে তৃপ্ত করেছে। এই কারণেই কবি কপোতাক্ষ নদকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করে আলোচ্য কথাটি বলেছেন ।



    গ.

    • উদ্দীপক ১ অংশে ‘কপোতাক্ষ নদ' কবিতার স্মৃতিকাতরতার দিকটি ফুটে উঠেছে।

    • স্মৃতিবিজড়িত অতীত মানুষকে কাতর করে তোলে। মানুষ তার সুখের অতীত বারবার ফিরে পেতে চায়। অতীতের অনুরাগ, আবেগ, ভালোবাসা কখনো বিচ্ছিন্ন হওয়ার নয়।

    • উদ্দীপক ১-এ লেখক তার সোনালি অতীতের কথা স্মরণ করেছেন। সবাই মিলে কফি হাউজে যে আড্ডা দিত সেই সোনালি সময়, সোনালি বিকেলের কথা ভেবে কাতর হন। এর মাধ্যমে তার সেই দিনগুলো ফিরে পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশিত হয়। ‘কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবি দূর প্রবাসে গিয়ে মাতৃভূমি ও শৈশবের প্রিয় কপোতাক্ষ নদের কথা মনে করে কাতর হয়েছেন। কবি শৈশবে কপোতাক্ষের তীরের প্রাকৃতিক পরিবেশে হেসে-খেলে বেড়ে উঠেছেন। তাই এই নদের কথা তিনি গভীর আবেগে স্মরণ করেন। এই নদের কাছে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার এই স্মৃতিকাতরতার দিকটিই উদ্দীপক ১ অংশে ফুটে উঠেছে। 


    ঘ. 

    • ‘উদ্দীপক ২ অংশের আড়ালে কবির মূল চেতনারই প্রকাশ ঘটেছে'- মন্তব্যটি যথার্থ।

    • মাতৃভূমি মায়ের সমান। নিজ দেশ বা মাতৃভূমিকে ভালোবাসা সকলের দায়িত্ব। সেই ভালোবাসা গড়ে ওঠে দেশের প্রকৃতিকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে। মাতৃভূমির সবকিছুর সাথেই মানুষের আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রিয় জন্মভূমির আলো-বাতাসে মানুষ বেড়ে ওঠে।

    • উদ্দীপক ২-এর কবিতাংশে স্বদেশপ্রেমের গভীর প্রকাশ লক্ষ করা যায়। স্বদেশের ঋতুবৈচিত্র্যের বিচিত্র রূপ, শস্য-শ্যামল খেতখামার কবিকে মুগ্ধ করেছে। তিনি তাঁর জন্মভূমির প্রতি গভীর বন্ধন ও ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবির স্মৃতিকাতরতার আবরণে তাঁর অত্যুজ্জ্বল দেশপ্রেম প্রকাশিত হয়েছে। শৈশবের স্মৃতিচারণে স্বদেশের প্রতি গভীর অনুরাগ ব্যক্ত করেছেন। কপোতাক্ষের জলে তৃষ্ণা মেটানোর কথা বলা হয়েছে। এই নদ ছাড়া অন্য কোনো নদ-নদীর জল কবির তৃষ্ণা মেটাতে পারে না ৷

    • উদ্দীপক ২ অংশে স্বদেশের রূপ-বৈচিত্র্যের বর্ণনার দিকটি কবির স্বদেশপ্রেমের দিককেই নির্দেশ করে। আর 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় নদ-নদীর প্রতি কবির প্রীতির নেপথ্যে স্বদেশপ্রেমের চেতনা কাজ করছে, যা উদ্দীপক ২-এর কবির চেতনায়ও প্রতিফলিত। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।


    তথ্যসংগ্রহ :- পাঠ্য বই ,  লেকচার ,   ও  পান্জেরী পাঠ সহায়ক বই  ,  মডেল টেস্ট   থেকে।