জীবন-সঙ্গীত কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩. Help School - Help School

জীবন-সঙ্গীত কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩. Help School

Daftar Isi [Tutup]

    জীবন-সঙ্গীত  কবিতার  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩



    জীবন-সঙ্গীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩. Help School

    জীবন-সঙ্গীত কবিতার  গুরুত্বপূর্ণ কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর যেসব পড়লে ও দেখলে তোমাদের খুবই উপকার হবে। এই সকল সৃজনশীল প্রশ্ন সকল বোর্ড   মডেল টেস্ট থেকে নেওয়া হয়েছে। আসা করি এই সকল সৃজনশীল প্রশ্ন পড়লে তোমাদের S.S.C পরীক্ষার  জীবন-সঙ্গীত কবিতার বিষয়ের জন্য খুব উপকারী হবে।

    আরও পড়ুন :-

    পল্লিসাহিত্য গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩


    জীবন-সঙ্গীত কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন -০১


    শোকে তাপে এ হৃদয়

    হয়ে গেছে ঘোর কালো;

    আঁধারে থাকিতে চাই

    ভালো যে বাসিনে আলো!

    আমি যে পাগল কবি, দীনতার পূর্ণ ছবি,

    সবি করে 'দূর দূর’

    তোরা কি বাসিস্ ভালো?

    ক. কবি কোথায় স্থান পেতে চেয়েছেন?

    খ. অতীতকে সুখের দিন বলা হয়েছে কেন?

    গ. উদ্দীপকটি 'জীবন-সঙ্গীত' কবিতার সঙ্গে কীভাবে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর ।

    ঘ. “উদ্দীপকের মূলভাব 'জীবন-সঙ্গীত' কবিতার মূলভাবের বিপরীত।”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর ।


    জীবন-সঙ্গীত সৃজনশীল উত্তর  -০১


    

    ক.

    কবি মানব হৃদয়ে স্থান পেতে চেয়েছেন।


    খ.

    • অতীতকে সুখের দিন বলার কারণ হলো- ব্যক্তি বর্তমানে অবস্থান করে এবং অতীতের তুলনায় বর্তমান কঠিন ।
    • মানুষ যে সময়ে অবস্থান করে, সে সময় সাধারণত কঠিন হয়। কিন্তু এই কঠিন অবস্থা কখনই কমে যায় না। ফলে যে সময় ব্যক্তি অতিক্রম করে এসেছে, সে সময়কে সহজ মনে হয়। কারণ ক্রমেই ব্যক্তি কঠিন পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যায়। এজন্যই অতীত দিনকে সবসময় সুখের দিন মনে হয়। তাই হারানো দিনকে সুখের দিন বলা হয়েছে।


    গ.

    • উদ্দীপকটি 'জীবন-সঙ্গীত' কবিতার মানবজীবনের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যর যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ ।
    • সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়েই মানুষের জীবন। জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মানুষকে কাজ করতে হয়। কাজের মাধ্যমে মানুষ সাফল্য অর্জন করতে পারে। কাজ করতে গিয়ে মানুষকে নানা সমস্যা ও প্রতিকূল পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয়। জীবনকে বোঝা মনে করে হতাশ হলে চলে না। কারণ ব্যর্থজীবনের গ্লানি বহন করার জন্য কারও জন্ম হয়নি।

    • উদ্দীপকের কবিতাংশে শোকে বিহ্বল হতাশাচ্ছন্ন জীবনের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। এখানে দেখা যায় কবি আলোকে ভালোবাসতে পারেন না। তিনি আঁধারে থাকতে চান। তিনি নিজের দীনতা স্বীকার করে প্রভুর কাছে আত্মনিবেদন করেছেন। স্রষ্টার কাছে উদ্দীপকের কবির যে আত্মনিবেদন, তাতে ভুল নেই। কিন্তু জীবনকে হতাশায় মোড়ানো জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হতে পারে না। উদ্দীপকের এই বিষয়টি 'জীবন-সঙ্গীত' কবিতার সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ কবিতায় কবি মিথ্যা সুখের আশায় স্বপ্নে বিভোর হয়ে না থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে। জীবন পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সমস্ত বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করার কথা বলা হয়েছে। পরিশ্রম করে নিজের ভাগ্যকে জয় করতে বলা হয়েছে। কারণ সংসার সমরাঙ্গন সদৃশ। তাকে সংগ্রামের মাধ্যমেই জয় করতে হয়। উদ্দীপকে এই জয়ের সুর বেজে ওঠেনি। এখানেই বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।


    ঘ.

    • “উদ্দীপকের মূলভাব 'জীবন-সঙ্গীত' কবিতার মূলভাবের বিপরীত।”- মন্তব্যটি যথার্থ ।

    • মানবজীবন কোনো ফুলশয্যা নয়। প্রতিনিয়ত মানুষকে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়। জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়ার ভয়ে কাজ থেকে বিরত থাকলে জীবনে সাফল্যের মুখ দেখা যায় না। জীবনের শোক ক্লান্তিকে এক পাশে রেখে অন্ধকার ছেড়ে আলোর পথে এগিয়ে যেতে হবে।

    • উদ্দীপকে শোকে মুহ্যমান ব্যর্থ জীবনের কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকের কবি আলোর বিপরীতে থাকতে চান। আলোতে উত্তরণের স্পৃহা তার নেই। এখানে তাঁর জীবনের যে হতাশা ও ব্যর্থতা প্রকাশ পেয়েছে তা 'জীবন-সঙ্গীত' কবিতার মূলভাবের সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ । কবিতার প্রথমাংশেই কবি জীবনের কাতরতা ও ব্যর্থতা পরিহার করে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন ।

    • 'জীবন-সঙ্গীত' কবিতায় কবি মানুষকে এ পৃথিবীতে সাহসী যোদ্ধার মতো সংগ্রাম করে টিকে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আর মিথ্যা সুখের স্বপ্নে জীবনকে হতাশায় ও ব্যর্থতার গ্লানিতে আচ্ছন্ন করতে বারণ করেছেন। উদ্দীপকে এর বিপরীত চেতনা প্রকাশ পেয়েছে। এখানে কবি নিজেকে ব্যর্থ হিসেবে তুলে ধরেছেন। এদিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।


    জীবন-সঙ্গীত সৃজনশীল প্রশ্ন -০২


    সময় গেলে সাধন হবে না

    দিন থাকতে দ্বীনের সাধন কেন জানলে না

    জানো না মন খালে বিলে

    থাকে না মীন জল শুকালে

    কী হবে আর বাধা দিলে ।

    ক. ‘ধ্বজা' শব্দের অর্থ কী?

    খ. কবি মানবকে ভয়ে ভীত না হওয়ার কথা বলেছেন কেন ?

    গ. উদ্দীপকটিতে ‘জীবন-সঙ্গীত' কবিতার কোন বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর ।

    ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত বিষয়টি ছাড়াও ‘জীবন-সঙ্গীত' কবিতায় উঠে এসেছে জীবনকে সমৃদ্ধ করার একাধিক পরামর্শ। মন্তব্যটির প্রাসঙ্গিকতা মূল্যায়ন কর ।


    জীবন-সঙ্গীত সৃজনশীল উত্তর  -০২


    ক.

    ‘ধ্বজা’ শব্দের অর্থ— পতাকা বা নিশান ।


    খ.

    • পৃথিবীতে মানুষকে নানা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে বাঁচতে হয়। তাই কবি মানুষকে জীবন চলার পথে ভয়ে ভীত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ।

    • মানুষের জীবন-সংসার সহজ নয়। এখানে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হলে প্রতিনিয়ত নানা সমস্যা-সংকট মোকাবিলা করতে হয়। এই ধারণাই ব্যক্ত হয়েছে ‘জীবন-সঙ্গীত' কবিতায় । পৃথিবীতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে প্রতিনিয়ত সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হয় তাহলেই জীবন সার্থকতা লাভ করে । পৃথিবীর এই যুদ্ধ-বিগ্রহ দেখে কবি তাই মানুষকে ভীত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। 


    গ.

    • উদ্দীপকটিতে ‘জীবন-সঙ্গীত' কবিতার সময়ের গুরুত্বের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে।
    • পৃথিবী তার আপন গতিতেই চলমান। সময় তার নিয়মেই প্রবাহিত হয়। এই সময়ের প্রবাহে একদিকে যেমন সৃষ্টি হয়, অন্য দিকে তেমনই ধ্বংস হচ্ছে। তাই প্রত্যেকের উচিত সময়ের কাজ সময়ে করা ।

    • উদ্দীপকে সময়ের কাজ সময়ের শেষ করার কথা বলা হয়েছে। সময়ের কাজ সময়ে না করলে জীবনে সাফল্য অর্জন করা যায় না। জীবিত অবস্থায় ভালো কর্ম না করলে মানুষকে পরকালে শাস্তি ভোগ করতে ‘জীবন- সঙ্গীত' কবিতার সময়ের গুরুত্বের বিষয়টির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এই কবিতায় কবি বলেছেন— সময় কারও জন্য অপেক্ষা করে না। তাই সময়ের কাজ সময়ের মধ্যে করতে হয়। মানুষকে মহৎ মানুষ হতে হলে আয়ু থাকা অবস্থায় সময়ের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। উদ্দীপকের কবিতার এই বিষয়টিই প্রতিফলিত হয়েছে ।


    ঘ.

    • উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়টি ছাড়াও ‘জীবন-সঙ্গীত' কবিতায় উঠে এসেছে জীবনকে সমৃদ্ধ করার একাধিক পরামর্শ।- মন্তব্যটি প্রাসঙ্গিক ।

    • জীবন স্বপ্নের মতো অলীক নয়। পৃথিবী মায়ার জগৎ নয়। তাই দুঃখে বিচলিত হওয়া উচিত নয় । সংসার নামক সমরাঙ্গনে যুদ্ধ করে জীবনকে সমৃদ্ধ করতে হবে। মহামানবরা যেভাবে অমরত্ব লাভ করেছেন, আমাদেরও উচিত সেভাবে কাজের মাধ্যমে জীবনকে তাৎপর্যময় করে তোলা ।

    • উদ্দীপকে জীবনকে সমৃদ্ধ করার একটি মাত্র উপায়ের কথা বলা হয়েছে; আর তা হলো সময়ের গুরুত্ব। আর ‘জীবন-সঙ্গীত' কবিতায় কবি সময়ের গুরুত্বের পাশাপাশি জীবনকে সার্থক করে তোলার আরও পরামর্শ দিয়েছেন। কবি মনে করেন বৈরাগ্যে কোনো মুক্তি নেই। আমাদের জীবন শৈবালের উপরের শিশিরবিন্দুর মতো ক্ষণস্থায়ী, অথচ মহামূল্যবান। তাই মানুষকে এই পৃথিবীতে সাহসী যোদ্ধার মতো সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হবে।
    • ‘জীবন-সঙ্গীত' কবিতায় কবি বলেছেন, সংসারে বাস করতে হলে সংসারের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কারণ সংসারেই নানা সমস্যা-সংকট দেখা দেয়। চলার পথে জীবনের সেইসব সমস্যা প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হয় । অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, পারিবারিক ইত্যাদি নানা প্রকার প্রতিবন্ধকতা প্রতিদিন সামনে আসে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারলেই সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়। ‘জীবন-সঙ্গীত' কবিতার কবি তা মনে করেন। কিন্তু উদ্দীপকে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি। উদ্দীপকে শুধু ‘জীবন-সঙ্গীত' কবিতার সময় কারও জন্য থেমে না থাকার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। তাই আমরা মন্তব্যটিকে যথার্থ বলতে পারি ।

    তথ্যসংগ্রহ :- পাঠ্য বই ,  লেকচার  ও অনুপম পাঠ সহায়ক বই  , মডেল টেস্ট  থেকে।