পল্লিসাহিত্য গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩. Help School - Help School

পল্লিসাহিত্য গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩. Help School

Daftar Isi [Tutup]

    পল্লিসাহিত্য গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩


    পল্লিসাহিত্য গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩. Help School


    পল্লিসাহিত্য  গুরুত্বপূর্ণ কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর যেসব পড়লে ও দেখলে তোমাদের খুবই উপকার হবে। এই সকল সৃজনশীল প্রশ্ন সকল বোর্ড   মডেল টেস্ট থেকে নেওয়া হয়েছে। আসা করি এই সকল সৃজনশীল প্রশ্ন পড়লে তোমাদের S.S.C পরীক্ষার  পল্লিসাহিত্য গল্প বিষয়ের জন্য খুব উপকারী হবে।

    আরও পড়ুন :-

    অভার্গীর স্বর্গ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩


    পল্লিসাহিত্য গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন -০১


    গ্রাম বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যেও সংগীত চর্চার ঐতিহ্য আছে। এসব গানকে সাধারণভাবে লোকসংগীত বলা হয়। লোকসংগীত সাধারণ মানুষের বাকপ্রতিভার স্বতঃস্ফূর্ত অভিব্যক্তি। লোকসংগীতে সমৃদ্ধ আমাদের দেশের কোনো অঞ্চলে আছে ভাওয়াইয়া, কোনো অঞ্চলে ভাটিয়ালি, কোনো অঞ্চলে বাউল গান, কোনো অঞ্চলে আছে মাইজভাণ্ডারী। এসব আঞ্চলিক গানের মধ্যে নারীশিল্পীদেরও অবদান আছে।

    ক. ‘কলগান' শব্দের অর্থ কী?

    খ. বাংলার পল্লিগ্রামের উপকথাগুলোর মূল্য আরব্য উপন্যাসের চেয়েও বেশি কেন? বুঝিয়ে লেখ।

    গ. উদ্দীপকে 'পল্লিসাহিত্য' প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর ।

    ঘ. “উদ্দীপকে প্রতিফলিত দিকটিই 'পল্লিসাহিত্য' প্রবন্ধের একমাত্র আলোচিত বিষয় নয়”- মন্তব্যটির সত্যতা প্রমাণ কর।


    পল্লিসাহিত্য গল্পের সৃজনশীল উত্তর -০১


    ক. 

    ‘কলগান’ শব্দের অর্থ শ্রুতিমধুর ধ্বনি।


    খ.

    • বাংলার পল্লিগ্রামের উপকথাগুলো অত্যন্ত মনোহর ও চমকপ্রদ হওয়ায় সেগুলোর মূল্য আরব্য উপন্যাসের চেয়েও বেশি।
    • পল্লিগ্রামের উপকথাগুলো ঝিল্লিমুখর সন্ধ্যায় বুড়ো-বুড়ির মুখে প্রচলিত ছিল। সেগুলো শোনার জন্য ছেলেমেয়েরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত। গ্রামের বুড়ো-বুড়ির মুখে এসব গল্প শুনতে শুনতে ছেলেমেয়েরা ঘুমিয়ে পড়ত। উপকথাগুলো অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর হওয়ায় সেগুলোকে আরব্য উপন্যাসের চেয়েও বেশি মূল্যবান বলা হয়েছে।


    গ. 

    • উদ্দীপকে 'পল্লিসাহিত্য' প্রবন্ধে আলোচিত পল্লিগানের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
    • পল্লির আনাচে-কানাচে লুকিয়ে রয়েছে সাহিত্যের নানা দিক। পল্লিগান পল্লিসাহিত্যের ঐতিহ্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে লোকসাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। পল্লিগানগুলো এ দেশের মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে।
    • উদ্দীপকে লোকসংগীতের বিষয়ে বলা হয়েছে। লোকসংগীত এদেশের গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের অত্যন্ত প্রিয় গান । গ্রামের সাধারণ মানুষ লোকসংগীতের মাধ্যমে তাদের মনের স্বতঃস্ফূর্ত অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, বাউল গান, মাইজভাণ্ডারি ইত্যাদি সংগীতের সমন্বয়ে এদেশের লোকসংগীত যথেষ্ট সমৃদ্ধ। 'পল্লিসাহিত্য' প্রবন্ধেও লেখক পল্লির অমূল্য সম্পদ পল্লিগানের কথা বর্ণনা করেছেন। পল্লির এই গানগুলো পল্লিসাহিত্যের অমূল্য সম্পদ । জারি গান, ভাটিয়ালি গান, রাখালি গান, মারফতি গান ইত্যাদি পল্লিগান গ্রামের ঘাটে, মাঠে ছড়ানো রয়েছে। এ গানগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার ঐতিহ্যগাথা। উদ্দীপকে 'পল্লিসাহিত্য' প্রবন্ধের এসব বিষয়ের মধ্যে কেবল পল্লিগানের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে।


    ঘ.

    • “উদ্দীপকে প্রতিফলিত দিকটিই 'পল্লিসাহিত্য' প্রবন্ধের একমাত্র আলোচিত বিষয় নয়”- মন্তব্যটি যথার্থ ।
    • পল্লিসাহিত্য বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। বাঙালির প্রাণের সম্পদ পল্লিসাহিত্যের নানা উপকরণ আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। পল্লিসাহিত্যের গুরুত্ব অনুধাবন করে এগুলো সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে সবাইকে তৎপর হতে হবে।
    • উদ্দীপকে পল্লিসাহিত্যের অন্যতম প্রধান উপাদান বাংলার লোকসংগীতের কথা বলা হয়েছে। গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের গাওয়া এই গানগুলো ঐতিহ্যের ধারক। বিভিন্ন অঞ্চলভেদে লোকসংগীতের বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। 'পল্লিসাহিত্য' প্রবন্ধেও সাহিত্যের উপাদান হিসেবে পল্লিগানের কথা বলা হয়েছে। পল্লিগানগুলো পল্লিসাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। প্রবন্ধে এই বিষয়টি ছাড়াও পল্লিসাহিত্যের বিশেষ রূপরেখা অঙ্কিত হয়েছে। বিশেষ করে হারিয়ে যাওয়া পল্লিসাহিত্যের বিভিন্ন উপাদানের বর্ণনা এবং তা সংগ্রহ ও সংরক্ষণের তাগিদ প্রবন্ধে রয়েছে। বাঙালি ঐতিহ্যের ধারক পল্লিসাহিত্যের গুরুত্ব অনুধাবন করে আমাদের পল্লিসাহিত্যের সম্পদগুলো যত্নের সঙ্গে সংগ্রহ করতে হবে।
    • 'পল্লিসাহিত্য' প্রবন্ধে পল্লিসাহিত্যের কয়েকটি বিশেষ দিকের আলোচনা রয়েছে। এ প্রবন্ধে লেখক বিভিন্ন উদাহরণের মধ্য দিয়ে পল্লিসাহিত্যের গুরুত্ব বর্ণনার চেষ্টা চালিয়েছেন। আর উদ্দীপকে পল্লিসাহিত্যের কেবল একটি বিষয়ের বর্ণনা করা হয়েছে। এ বিষয়টি ছাড়াও প্রবন্ধে আরও বিষয় রয়েছে। এই দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।


    পল্লিসাহিত্য গল্পের গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন -০২


    রাতারগুল বেড়াতে গিয়ে ইনায়া ও তার বন্ধুরা মাঝির কণ্ঠে ভাটিয়ালি গান শুনে একেবারে মুগ্ধ। শহরে এসে এই গানের DVD খুঁজতে গিয়ে আবিষ্কার করল বিশাল এক পল্লিগানের জগৎ। বন্ধুবান্ধবদের সাথে আলোচনা করে তারা এগুলো সংরক্ষণের উপায় খুঁজতে লাগল ।

    ক. "Folklore Society" কবে কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়?

    খ. আধুনিক শিক্ষার কর্মনাশা স্রোত বলতে কী বোঝায়?

    গ. উদ্দীপকে ‘পল্লিসাহিত্য' প্রবন্ধের কোন দিকের বর্ণনা রয়েছে এবং এটি হারিয়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর ।

    ঘ. উদ্দীপকটিতে ‘পল্লিসাহিত্য' প্রবন্ধের লেখকের মনের অভিব্যক্তিই প্রকাশিত হয়েছে। ব্যাখ্যা কর। 


     পল্লিসাহিত্য গল্পের সৃজনশীল উত্তর -০২


    ক. 

    "Folklore Society" সর্বপ্রথম ১৮৪৮ সালে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত হয়।


    খ. 

    • ‘আধুনিক শিক্ষার কর্মনাশা স্রোত' বলতে লেখক বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার চাপে পল্লিসাহিত্যগুলো তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বুঝিয়েছেন ।
    • বর্তমানে যে শিক্ষাব্যবস্থা চালু আছে তাতে পল্লিসাহিত্য সম্পর্কে জানার কোনো উপায় নেই। এ শিক্ষাব্যবস্থা মানুষকে কেবল নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানার কোনো সুযোগ দিচ্ছে না, মানুষকে কেবল কর্মমুখী করে তুলছে। শিক্ষাব্যবস্থায় পল্লিসাহিত্যের অনুপস্থিতি তাদেরকে নিজের পরিচয় সম্পর্কে উদাসীন করে তুলছে। আধুনিক যুগে শিশুরা আর রূপকথা, উপকথা শোনে না। এসব বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত না থাকায় তা তাদের অজানাই থেকে যাচ্ছে। শিক্ষা পাঠ্যসূচিতে পল্লিসাহিত্যের বিষয়াদি সংযোগে অবহেলা এবং আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার চাপের ফলে জীবনঘনিষ্ঠ সাহিত্য থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ভেবে লেখক প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন ।


    গ.

    • উদ্দীপকে 'পল্লিসাহিত্য' প্রবন্ধে পল্লিগানের বর্ণনা রয়েছে।
    • পল্লিসাহিত্যের অন্যতম সম্পদ হলো 'পল্লিগান'।  পল্লিসাহিত্যের এই গানগুলো অমূল্য রত্নবিশেষ। এগুলো বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। তাই পল্লিগান সংগ্রহ ও সংরক্ষণ একান্ত জরুরি।
    • পল্লির অমূল্য রত্ন পল্লিসাহিত্য। বর্তমানে পল্লিসাহিত্যের প্রায় সব উপাদান সময়ের স্রোতে ভেসে গেছে। তবে এখনও যা আছে সেগুলোই পল্লির প্রাণ। মানবপ্রেম, ঈশ্বরপ্রেম ও দেশপ্রেমের বাণী সমৃদ্ধ এসব গান সাধারণ মানুষের মন জুড়ায়। পল্লিসাহিত্য সম্পদের ভাণ্ডারে বিচিত্র ধরনের পল্লিগান আছে। জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মারফতি প্রভৃতি অতুলনীয়। উদ্দীপকে বন্ধুরা মাঝির কণ্ঠে ভাটিয়ালি গান শুনে একেবারে মুগ্ধ। তারা শহরে ডিভিডি খুঁজতে গিয়ে বিশাল এক পল্লিগানের জগৎ আবিষ্কার করে। বন্ধুরা আলোচনা করে সেগুলো সংরক্ষণের উপায় খুঁজতে থাকে। এগুলো হারিয়ে যাওয়ার কারণ হলো আমরা নিজেদের সংস্কৃতি ভুলে অন্যের সংস্কৃতিতে বেশি আগ্রহী। আর এই সংস্কৃতি সম্পদগুলো বাঁচিয়ে রাখা ও সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।


    ঘ.

    • উদ্দীপকটিতে ‘পল্লিসাহিত্য' প্রবন্ধের লেখকের মনের অভিব্যক্তিই প্রকাশিত হয়েছে।— মন্তব্যটি যথার্থ।
    • মানুষের জীবনের নানা ঘটনা, বাস্তব অভিজ্ঞতা, প্রভৃতির মাদ্যমে পল্লিসাহিত্যে সৃষ্টি হয়েছে। এ সাহিত্যের উপাদানে পল্লির মানুষের জীবনঘনিষ্ঠতার বিষয়টি লক্ষ করা যায় । পল্লিসাহিত্যে মানুষের বাস্তব জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার প্রতিফলন ঘটে ।
    • পল্লিসাহিত্য সম্পদের ভাণ্ডারে বিচিত্র ধরনের পল্লিগান আছে। জারি, সারি, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, রাখালি, মুর্শিদি, মারফতি প্রভৃতি অতুলনীয়। পল্লির মাঠে-ঘাটে ছড়িয়ে থাকা এসব গানে কত প্রেম, কত আনন্দ, কত সৌন্দর্য, কত তত্ত্বজ্ঞান যে জড়িয়ে আছে তা বলে শেষ করা যায় না ৷ যুগ যুগ ধরে এগুলো পল্লিবাসীর মুখে মুখে প্রচলিত হয়ে আসছে। পল্লিসাহিত্যের এসব উপাদানের প্রতি অনুরাগ উদ্দীপকেও প্রতিফলিত হয়েছে। 'পল্লিসাহিত্য' প্রবন্ধে পল্লিসাহিত্যের নানা উপাদানের কথা বলা হয়েছে। যা বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। এগুলো সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। সংরক্ষণ করা না হলে এক সময় এগুলো হারিয়ে যাবে। ‘পল্লিসাহিত্য' প্রবন্ধে লেখক পল্লির অমূল্য সম্পদ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। পল্লিসাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো আমাদের সংরক্ষণ করা প্রয়োজন ।
    • উদ্দীপকটি ‘পল্লিসাহিত্য' প্রবন্ধের লেখকের মনের অভিব্যক্তিই প্রকাশিত হয়েছে। উদ্দীপকে শুধু পল্লিগান, ভাটিয়ালি গানের কথা বলা হলেও পল্লিসাহিত্যের প্রতি অভিন্ন অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে। তার পাশাপাশি পল্লিগানের সংরক্ষণের বিষয়টিও এসেছে। শহুরে গানের প্রভাবে সেগুলো এখন বর্বর চাষার গান বলে ভদ্রসমাজে আর বিকোয় না। এগুলো পল্লির প্রাচীন সম্পদ। এদেশের আলো-বাতাসের মতো সকলের সাধারণ সম্পত্তি । উদ্দীপকের বক্তব্য ‘পল্লিসাহিত্য' প্রবন্ধের লেখকের কথার সঙ্গে মিলে যায় । সুতরাং প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ ।


    তথ্যসংগ্রহ :- পাঠ্য বই ,  লেকচার ও মডেল টেস্ট  থেকে ।