একাত্তরের দিনগুলো গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর. Help school - Help School

একাত্তরের দিনগুলো গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর. Help school

Daftar Isi [Tutup]

    একাত্তরের দিনগুলো গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩



    একাত্তরের দিনগুলো গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২২

    একাত্তরের দিনগুলো গল্পের গুরুত্বপূর্ণ  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর যেসব পড়লে ও দেখলে তোমাদের খুবই উপকার হবে। এই সকল সৃজনশীল প্রশ্ন সকল বোর্ড,  অনুধাবন, প্রয়োগ,  উচ্চতার দক্ষতা  মূলক  প্রশ্ন  থেকে নেওয়া হয়েছে। আসা করি এই সকল সৃজনশীল প্রশ্ন পড়লে তোমাদের S.S.C পরীক্ষার  একাত্তরের দিনগুলো বিষয়ের জন্য খুব উপকারী হবে।


    আরও পড়ুন :-


    সৃজনশীল প্রশ্ন - ০১ 


    সেবিকা অনন্যা মুক্তিযােদ্ধাদের অস্থায়ী ক্যাম্পে যুদ্ধাহতদের সেবা-শুশ্রুষা করেছিলেন। হৃদয়বিদারক সেই স্মৃতি আজও তাকে তাড়িত। করে। অবসর সময়ে তিনি নাতি-নাতনিদের নিয়ে মুক্তিযােদ্ধাদের ত্যাগের কথাগুলাে স্মৃতিচারণ করেন।


    ক. ঢাকার কয় জায়গায় গ্রেনেড ফেটেছে?

    খ. স্কুল খুললেও জামী স্কুলে যাবে না কেন?

    গ. উদ্দীপকের বিষয়টি নবীন প্রজন্মকে কীভাবে উদ্বুদ্ধ করবে তা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার আলােকে ব্যাখ্যা কর।

    ঘ. উদ্দীপকের অনন্যার কর্মকাণ্ড এবং ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকার প্রয়াস এক ও অভিন্ন”- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।


    সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ০১


    ক.

    ঢাকার ছয় জায়গায় গ্রেনেড ফেটেছে।


    খ.

    • পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক এদেশের সাধারণ মানুষকে যখন নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে তখন কোনাে ছাত্রেরই স্কুলে যাওয়া উচিত নয়। এ কারণেই স্কুল খুললেও জামী স্কুলে যাবে না।

    • পাকিস্তানি স্বৈরাচারী সরকার যুদ্ধের মাঝেও স্কুল খােলা রাখার কম জারি করে। জামী দশম শ্রেণির ছাত্র । দেয় সরকার। লেখিকা, শরীফ, রমী, জামী– চারজনে বসে পরামর্শ করে যে, স্কুল খুললেও জামী স্কুলে যাবে না। কারণ। তখন অস্থির পরিবেশ, যুদ্ধ চলছে। দেশবাসীর ওপর হানাদার বাহিনী নির্মম অত্যাচার করছে। এই অবস্থায় কোনাে ছাত্রের উচিত নয় বই-খাতা বগলে স্কুলে যাওয়া। মূলত এসব কারণে স্কুল খুললেও জামী স্কুলে যাবে না।


    গ.

    •  উদ্দীপকের বিষয়টি নবীন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে।

    • পাকিস্তানি হানাদারদের অন্যায়ের প্রতিবাদে এদেশের সব শ্রেণির মানুষ গর্জে ওঠে। তারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে শত্রুদের প্রতিহত করতে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুক্তিযােদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে আত্মনিবেদন করবে।

    • উদ্দীপকে দেখা যায় সেবিকা অনন্যা মুক্তিযােদ্ধাদের অস্থায়ী ক্যাম্পে যুদ্ধাহতদের সেবা-শুশ্রুষা করেছিলেন। যুদ্ধের হৃদয়বিদারক স্মৃতি আজও তাকে তাড়িত করে। অবসর সময়ে তিনি তাঁর নাতি-নাতনিদের নিয়ে মুক্তিযােদ্ধাদের ত্যাগের কথাগুলাে স্মৃতিচারণ করেন। এই বিষয়টি নবীন প্রজন্মকে দারুণভাবে স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। তারা যখন জানতে পারবে আমাদের মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে গিয়ে মুক্তিযােদ্ধারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তখন জাতীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা মাতৃভূমিকে বেশি করে ভালােবাসতে শিখবে। 


    ঘ.

    •  “উদ্দীপকের অনন্যার কর্মকাণ্ড এবং ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকার প্রয়াস এক ও অভিন্ন”- উক্তিটি যথার্থ । 

    • ১৯৭১ সালে এদেশের সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়; কেউ প্রত্যক্ষভাবে, আবার কেউ পরােক্ষভাবে । প্রত্যেকে যে যার জায়গা থেকে দেশকে শত্রুমুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেউ মুক্তিযােদ্ধাদের খাবার দিয়ে, কেউ খবর আদান-প্রদান করে, কেউ আশ্রয় দিয়ে। তারা সবাই দেশপ্রেমিক মুক্তিযােদ্ধা। তারা আমাদের অহংকার।

    •  উদ্দীপকের সেবিকা অনন্যা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযােদ্ধাদের অস্থায়ী ক্যাম্পে যুদ্ধাহতদের সেবা-শুশ্রুষা করেছিলেন। সেই হৃদয়বিদারক দৃশ্য এখনও তাকে তাড়িত করে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে তিনি মুক্তিযােদ্ধাদের সুমহান ত্যাগের কথাগুলাে স্মৃতিচারণ করেন। তাঁর এই কর্মকাণ্ড এবং একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকার প্রয়াস এক ও অভিন্ন। তিনিও বিভিন্নভাবে মুক্তিযােদ্ধাদের সাহায্য ও সহযােগিতা করে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

    •  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ লেখিকার স্মৃতিচারণমূলক রচনা। শহিদ জননী জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধে তার স গভীর বেদনার সঙ্গে আভাসে-ইঙ্গিতে তার হৃদয়ের রক্তক্ষরণের যন্ত্রণা ব্যক্ত করেছেন। সেই সময়ের হানাদারদের নৃশংস অত্যাচার। এবং মুক্তিযােদ্ধাদের দুঃসাহসিকতা তাঁর স্মৃতিচারণে উঠে এসেছে। এ স্মৃতিচারণ উদ্দীপকের অনন্যার ক্ষেত্রেও লক্ষ করা যায়। মুক্তিযুদ্ধের এসব স্মৃতিচারণে নবীন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের অনন্যা এবং ‘একাত্তরের দিনগুলি রচনার লেখিকার প্রয়াস এক ও অভিন্ন।


    সৃজনশীল প্রশ্নের - ০২


    ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের ভয়াল কালরাতের নশংসতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩রাণ কালরাতের নৃশংসতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলাের পাশাপাশি শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। বাসায় বাসায় গিয়ে হত্যা করা হয় অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক ড. গােবিন্দ চন্দ্র দেব, কবি মেহেরুন্নিসা, সাংবাদিক সেলিনা। পারভান, ভাষাসােনক ধারেন্দ্রনাথ দত্তসহ অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তিকে । স্বাধীনতা আন্দোলনের নেপথ্যে যাদের ভমিকা ছিল অপরিসীম।


     ক. স্বাধীন বাংলা বেতারে আবু মােহাম্মদ আলী কার ছদ্মনাম ছিল?

    খ. তাহলে দেখ ভয়টা আসলে মনে।' বাক্যটি বুঝিয়ে লেখ।

    গ. উদ্দীপকের কোন দিকটি ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় উপস্থিত? ব্যাখ্যা কর ।

    ঘ. উদ্দীপকের তুলনায় ‘একাত্তরের দিনগুলি' রচনা আরও করুণ।”- উক্তিটি মূল্যায়ন কর ।


    সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ০২


    ক.

    স্বাধীন বাংলা বেতারে আবু মােহাম্মদ আলী হচ্ছে আলী যাকেরের ছদ্মনাম ।


    খ.

    •  আলােচ্য উক্তিতে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষের মনের আতঙ্কের দিকটি বােঝানাে হয়েছে।

    •   ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় মুক্তিযুদ্ধে বিভীষিকাময় দিনগুলাের কথা ফুটে উঠেছে। সেই সময় মানুষের মনে আতঙ্ক প্রচণ্ডভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। মানুষ যে স্থান ছেড়ে নিরাপত্তার জন্য অন্য কোথাও যাচ্ছে, সেই একই স্থানে আবার অন্য জায়গা থেকে মানুষ চলে আসছে নিরাপত্তার জন্য। এক স্থানের মানুষ অন্য স্থানকে নিরাপদ মনে করছে, আবার সেই স্থানের মানুষ নিরাপত্তার জন্য ছুটে চলেছে অন্যত্র। আসলে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের বর্বরতা এদেশের মানুষের মনে একধরনের তীব্র ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। এই প্রেক্ষাপটেই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করা হয়েছে।


    গ.

    • উদ্দীপকের পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর নৃশংসতার দিকটি ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় উপস্থিত।

    • ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলার নিরস্ত্র মানুষের ওপর আক্রমণ চালায়। এদেশের সাধারণ মানুষদের তারা নির্বিচারে হত্যা করে। তারা নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ কাউকেই রেহাই দেয়নি।

    •  উদ্দীপকে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ ভয়াল রাতের কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অন্যান্য জায়গার মতাে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও শিক্ষকদের বাসাগুলােতে আক্রমণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তাদের বাসা থেকে টেনে-হিচড়ে বের করে এনে । সিভিন সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একাত্তরের দিনগুলি রচনায়ও লেখিকা জাহানারা নৃশংসভাবে হত্যা করে। তারা বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এমন, ইমাম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতার চিত্র তুলে ধরেছেন। বলা হয়েছে পশ্চিম পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযােগের কথা । পাকিস্তানি সৈন্যদের নির্বিচারে মানুষ হত্যা, মুক্তিযােদ্ধাদের ওপর নির্যাতন, নদীতে অসংখ্য ভাসমান লাশ ইত্যাদি বিষয় সেই সময়ের দর্বিষহ অবস্থার কথাই প্রকাশ করে। এভাবে উদ্দীপকের পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর নৃশংসতার দিকটি ‘একাত্তরের দিনগুলি' রচনায় উপস্থিত।


    ঘ.

    •  “উদ্দীপকের তুলনায় ‘একাত্তরের দিনগুলি' রচনা আরও করুণ।”- উক্তিটি যথার্থ।

    • ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ মধ্যরাত থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলার নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষের ওপর নির্মম অত্যাচার চালায়। মানুষের ঘরবাড়ি-দোকানপাট সব জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘ নয় মাস তাদের এই হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসযজ্ঞ অব্যাহত থাকে।

    •  উদ্দীপকে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এ দেশের মানুষের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালানাের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। ভয়াল সেই নশংসতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শহিদ হন অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক ড. গােবিন্দ চন্দ্র দেব, কবি ও সাংবাদিক মেহেরুন্নিসা, সাংবাদিক সেলিনা পারভীন, ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত প্রমুখ। অন্যদিকে ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় লেখিকা ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে ঢাকার যে অবস্থা হয়েছিল তার এক মর্মন্তদ বিবরণ দিয়েছেন। এতে মক্তিযােদ্ধাদের সাহস ও শক্তিমত্তার কথা, নির্বিচারে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ চালানাে, বুদ্ধিজীবীদের অবস্থা, লেখিকার। মানসিক অবস্থা, সর্বোপরি তার বড় সন্তান রুমীর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও নির্মম পরিণতির শিকার হওয়ার কথা প্রকাশ পেয়েছে।

    • উদ্দীপকে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের কথা প্রকাশ পেলেও 'একাত্তরের দিনগুলি' রচনা আরও করুণ। কারণ সেখানে লেখিকা মক্তিযুদ্ধ ? তমত অবস্থার সঙ্গে তাঁর নিজের মানসিক অবস্থাও তুলে ধরেছেন। নিজ সন্তানকে তিনি উৎসর্গ করেছেন দেশের জন্য। তার মাতহদয়ের হাহাকার আমাদের হৃদয়ে করুণ বিষাদ সৃষ্টি করে, যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোত উক্তিটি যথার্থ ।


    তথ্যসংগ্রহ :- পাঠ্য বই ,  লেকচার পাঠ সহায়ক বই  , পঙ্গু  গল্প  থেকে নেওয়া।