ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩. Help school - Help School

ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩. Help school

Daftar Isi [Tutup]

     ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩


    ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩. Help school


    ঝর্ণার গান  কবিতার গুরুত্বপূর্ণ  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর যেসব পড়লে ও দেখলে তোমাদের খুবই উপকার হবে। এই সকল সৃজনশীল প্রশ্ন সকল বোর্ড,  অনুধাবন, প্রয়োগ,  উচ্চতার দক্ষতা  মূলক  প্রশ্ন  থেকে নেওয়া হয়েছে। আসা করি এই সকল সৃজনশীল প্রশ্ন পড়লে তোমাদের S.S.C পরীক্ষার ঝর্ণার গান  কবিতা বিষয়ের জন্য খুব উপকারী হবে। 

    আরও পড়ুন ঃ-

    বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - ২০২৩.


    ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ০১ 


    রুপালি পাখায় কাপে ত্রিকালের ছন্দ 

    দুপুরের ঝলমলে রােদুর, 

    হে কপােত, পারাবত, পায়রা,

     যে-দিকে দু-চোখ যায় দেখা যায় যদ্দুর

     রুপালি পাখায় আঁকা শূন্য। 

    আকাশী ফুলের শ্বেত পিঙ্গল কৃষ্ণ 

    কম্পিত শত শত উড়ন্ত পাপড়ি

     তুমি নেই, আমি নেই, কেউ নেই, 

     দুপুরের ঝলমলে জীবন্ত-রৌদ্রে 

    ওড়ে শুধু এক ঝাক পায়রা।

    ক, থল-ঝাঝির মখমলে কে মুখ বুলায়? 

    খ. চকোর চায় চন্দ্রমায়’ বলতে কী বােঝ? 

    গ. উদ্দীপকটিতে ঝর্ণার গান' কবিতার কোন দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। 

    ঘ. উদ্দীপকের পায়রার উড়ে চলার সৌন্দর্য ও গতিময়তা ‘ঝর্ণার গান কবিতায় ঝরনার ছুটে চলার সৌন্দর্যকে নির্দেশ। করে।”- মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।


    ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল উত্তর ০১


    ক.

     থল-ঝঝির মখমলে শালিক শুক পাখি মুখ বুলায়। 

    খ.

    • 'চকোর চায় চন্দ্রমায়’ বলতে চকোর পাখির স্নিগ্ধ জোছনালােক প্রত্যাশাকে বােঝানাে হয়েছে।

    • ' ঝর্ণার গান' কবিতায় কবি ঝরনার গতিময়তা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকটি তুলে ধরেছেন। ঝরনা চলার পথে সমস্ত নীরবতা ভেঙে আপন ছন্দে দুটে চলে। পাখির ডাকহীন নির্জন দপর, ভয়ংকর পাহাড় সবকিছু উপেক্ষা করে ঝরনা স্তব্দ পাথরের বুকে আনন্দের পদচিহ্ন রেখে বয়ে চলে । কবি ঝরনার মনােহর দশ্যে মদ্ধ, বিমােহিত। চকোর পাখি যেমন রাতের বেলা চাদের স্নিগ্ধ আলাে চায়, কবিও তেমনি ঝরনার সৌন্দর্য উপভােগ করতে চান।


    গ.

    •  উদ্দীপকটিতে ঝর্ণার গান কবিতার ঝরনার আপন ছন্দে ছুটে চলার দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে।

    • পৃথিবীতে প্রতিটি বস্তুই আপন ছন্দে গতিশীল। এর মধ্যে কোনাে কোনাে গতি আমরা উপভােগ করি, আবার কোনােটি পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণ করি। নদী, ঝরনা প্রভৃতি আপন ছন্দে ছুটে চলে। এ চলার পথে তারা আপন আপন সৌন্দর্য ছড়িয়ে মানুষকে মুগ্ধ করে।

    •  উদ্দীপকে রূপালি পাখা মেলে ছন্দময় গতিতে এক ঝাঁক পায়রার উড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। দুপুরের উজ্জ্বল আলােয় তারা উড়ে যায়। তাদের পাখাকে কবির কাছে উড়ন্ত পাপড়ির মতাে মনে হয়। দৃষ্টির সীমা পর্যন্ত তাদেরকে আকাশে দেখা যায়। উদ্দীপকের এক ঝাঁক পায়রার এই উড়ে চলার বিষয়টি ঝর্ণার গান কবিতার আপন ছন্দে ঝরনার ছুটে চলার দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। পাহাড়ের মৌনতা ভেঙে ঝরনা ছুটে চলে । চলার পথে। পাথরের বুকে আনন্দের চিহ্ন রেখে যায়। তার অঙ্গজুড়ে সৌন্দর্যের চেতনা ও আনন্দময় ছুটে চলা দেখে মানুষ মুগ্ধ হয়। উদ্দীপকের কবিতাংশে এক আঁক পায়রার উড়ে চলার গতিময় ছন্দেও কবি মুগ্ধ হয়েছেন। এভাবে উদ্দীপকে ঝর্ণার গান কবিতার ঝরনার ছুটে চলার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।


    ঘ.

    • উদ্দীপকের পায়রার উড়ে চলার সৌন্দর্য ও গতিময়তা ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝরনার ছুটে চলার সৌন্দর্যকে নির্দেশ করে।”- মন্তব্যটি যথার্থ। 

    • গতিময়তার মাঝেই প্রাণের অস্তিত্ব ও সৌন্দর্য টিকে তাকে। স্থবিরতা প্রাণের সৌন্দর্যকে ধরে রাখতে পারে না। তাই জগতে টিকে থাকতে হলে, আপন সৌন্দর্য প্রকাশ করতে হলে অবশ্যই গতিশীল হতে হবে । 

    • 'ঝর্ণার গান কবিতায় কবি ঝরনার গতিময়তা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকটি তুলে ধরেছেন। পাহাড়ের শিখরে ঝরনার সৃষ্টি। সেখান থেকে পাহাড়ের গা বেয়ে ঝরনা গতিময় ছন্দে ছুটে চলে। পথ চলতে সে কারও বাধা মানে না, কোনাে ভয় পায় না; সে ক্রমাগত ছুটে চলে। চলার পথে সে প্রকৃতির সৌন্দর্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে মানুষের মনে আনন্দ ছড়ায়। গতিময়তার এই দিকটি উদ্দীপকের কবিতাংশেও লক্ষ করা যায়। এখানে এক ঝাক পায়রা, আপন ছন্দে দুপুরের ঝলমলে রােদে রুপালি পাখায় ছন্দ নিয়ে উড়ে চলে। দেখে মনে হয় যেন আকাশি ফুলের শত শত পাপড়ি উড়ে যাচ্ছে। উদ্দীপকের কবির এ সৌন্দর্য উপভােগ এবং ঝর্ণার গান' কবিতার ঝরনার সৌন্দর্য উপভোেগ একসূত্রে গাঁথা।

    • ঝর্ণার গান' কবিতায় গতিময় ঝরনার বৈশিষ্ট্য ও পরিবেশগত ভাবের প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। উদ্দীপকের কবিতাংশেও পায়রার | বৈশিষ্ট্য ও পরিবেশের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। ঝরনার এ গতিময় ছুটে চলার সঙ্গে উদ্দীপকে এক ঝাক পায়রার উড়ে চলার। গতিময়তাও অভিন্ন। এসব দিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।


    ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ০২


    ঝর্ণা, ঝর্ণা, সুন্দরী ঝর্ণা 

    তরলিত চন্দ্রিকা! চন্দন-বর্ণা। 

    অঞ্চল সিতি গৈরিকে স্বর্ণে 

    গিরি-মল্লিকা দোলে কুন্তলে কর্ণে

    তনু ভরি ‘যৌবন’ তাপসী অপর্ণা।

    ঝর্ণা! 

    ক. বিজন দেশে কী নেই?

     খ. চকোর চায় চন্দ্রমায়’ কথাটি বুঝিয়ে লেখ। 

    গ. উদ্দীপক ও ঝর্ণার গান' কবিতার আলােকে ঝরনার সৌন্দর্য ব্যাখ্যা কর। 

    ঘ. উদ্দীপক ও ঝর্ণার গান’ কবিতার বক্তব্যকে কতটুকু ধারণ করে? যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর।


    ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল উত্তর ০২


     ক.

    বিজন দেশে কূজন নেই । 

    খ.

    •  চকোর চায় চন্দ্রমায়’ বলতে চকোর পাখির স্নিগ্ধ জোছনালােক প্রত্যাশাকে বােঝানাে হয়েছে। 

    • 'ঝর্ণার গান' কবিতায় কবি ঝরনার গতিময়তা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকটি তুলে ধরেছেন। ঝরনা প্রকৃতির সমস্ত নীরবতা ভেঙে আপন। ছন্দে ছুটে চলে। পাখির ডাকহীন নির্জন দুপুর, ভয়ংকর পাহাড় সবকিছু উপেক্ষা করে ঝরনা স্তন্ধ পাথরের বুকে আনন্দের পদচিহ্ন রেখে ৪ বয়ে চলে। কবি ঝরনার মনােহর দৃশ্যে মুগ্ধ, বিমােহিত। চকোর পাখি যেমন রাতের বেলা চাদের স্নিগ্ধ আলাে চায়, কবিও তেমনই ঝরনার সৌন্দর্য উপভােগ করতে চান। 


    গ.

    •  উদ্দীপক ও ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝরনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রূপ প্রকাশ পেয়েছে। 

    • ফুল, গাছ, লতা-পাতা, পাহাড়, নদী, ঝরনা এসবই প্রকৃতির উপাদান। এগুলাে আমাদের চারপাশের জগৎকে করেছে মােহনীয়। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে। 

    • ঝর্ণার গান কবিতায় পাহাড়ের বুক থেকে ঝরনার চপ্পল গতিতে নেমে আসার কথা বলা হয়েছে। স্তন্ধ পাথরের বুকে আনন্দের চিহ্ন রেখে ঝরনা অবিরাম ছুটে চলে । তার চলার ধ্বনি ও সৌন্দর্য অসাধারণ। তার জলধারার সৌন্দর্যে সবাই মুগ্ধ হয়। চল পায়ে ঝরনা, আপন গতিতে গন্তব্যের দিকে ধাবিত হয়। উদ্দীপকেও প্রকৃতির সৌন্দর্যের দিকটি প্রকাশিত হয়েছে। ঝরনার সৌন্দর্য ও গতিশীলতা তুলে ধরা হয়েছে। ঝরনাকে ভরা যৌবনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ভরা যৌবনা দ্বারা মূলত ঝরনার রূপ ও সৌন্দর্য প্রকাশ করাই কবির মূল উদ্দেশ্য। এভাবে রূপসৌন্দর্যের দিক থেকে উদ্দীপকটি এবং ঝর্ণার গান’ কবিতাটি সাদৃশ্যপূর্ণ।


    ঘ.

    •  উদ্দীপকটি ঝর্ণার গান কবিতার আংশিক বক্তব্য ধারণ করে।

    •  বিশ্বপ্রকতি নানা রকম সৌন্দর্যের আধার। প্রকৃতি বন-বনানী, নদ-নদী, সাগর, পাহাড় বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য দিয়ে মানুষকে মুগ্ধ করে। মানুষের এই আনন্দ ও মুগ্ধতার মধ্যেই প্রকৃতির সার্থকতা বিরাজমান।

    •  'ঝর্ণার' গান কবিতায় কবি স্তব্ধ পাথরের বুকে আনন্দের পদচিহ্ন একে যাওয়া ঝরনার চিত্রকল্প এঁকেছেন। পাহাড় যেখানে দৈত্যের মতাে। ঘাড় ঘুরিয়ে ভয় দেখায়, যেখানে লােকজন নেই, যে জায়গা নীরব-নিভৃত সেখানে আনন্দময় পদধ্বনিতে নেমে আসে ঝরনার সেই সাদা। জলরাশির ধারা । কবি তার অনুভব দিয়ে ঝরনার আনন্দ টের পেয়েছেন। এবং কবিতাটিতেও ঝরনার সেই আনন্দকেই প্রকাশ করেছেন। নিস্তব্ধ দুপরে ঝরনা চল পায়ে বাধা ডিঙিয়ে অবিরত ছুটে চলে। উদ্দীপকেও ঝরনার রূপসৌন্দর্যের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। কবি ঝরনার সৌন্দর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ঝরনাকে ভরা যৌবনা বলে উল্লেখ করেছে। ঝরনার বর্ণ চন্দন তুল্য। এই রূপসৌন্দর্যের দিক থেকে উদ্দীপক ও ঝর্ণার গান’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে। 

    • উদ্দীপকে শুধু ঝরনার সৌন্দর্যই বর্ণনা করা হয়েছে। তবে কবিতায় যেমন ঝরনার সৌন্দর্যের পাশাপাশি তার ছুটে চলা এবং দিগ্বিদিক। ঝিলমিলিয়ে প্রবাহমানতার দিকটির উল্লেখ আছে তেমন বর্ণনা উদ্দীপকে নেই। এই বিবেচনায় তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ঝর্ণার গান’ কবিতার আংশিক বক্তব্য ধারণ করে।


    তথ্যসংগ্রহ :- পাঠ্য বই , অনুপম ও  নবদূত পাঠ সহায়ক বই  , মডেল টেস্ট   থেকে।